যারা প্রোগ্রামিং শিখতে চান, প্রোগ্রামিংয়ে ক্যারিয়ার করতে চান অথবা প্রোগ্রামার হিসেবে ইতোমধ্যে কাজ করছেন, তাদের জন্য বইটি। যারা এখনো প্রোগ্রামিং শুরু করেননি, তারা কীভাবে একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সিলেক্ট করবেন, একটি টেকনোলজি শিখবেন, নতুন ফ্রেমওয়ার্ক শিখবেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে এই বইতে।
ইতোমধ্যে প্রোগ্রামিং শিখে ফেলেছেন, চাকরি খুঁজছেন, তারা কীভাবে খুঁজবেন, কোন কোম্পানিগুলোতে অ্যাপ্লাই করবেন, সেই বিষয়ে রয়েছে বিশেষ দিকনির্দেশনা।
যারা প্রোগ্রামার হিসেবে কোনো কোম্পানিতে ফিজিক্যাল জব করছেন অথবা রিমোট জব করছেন, তারা কীভাবে নিজের স্কিল ডেভেলপ করবেন, কীভাবে প্রোডাক্টিভ থাকবেন, সে বিষয়ে আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আলোচনা করেছি।
প্রোগ্রামিংয়ের সাথে আমার পরিচয় ২০১০ সালে। এরপর প্রায় চৌদ্দ বছর চলে গেছে। এই চৌদ্দ বছরে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে আমি অসংখ্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। দেশি-বিদেশি সফটওয়্যার প্রজেক্টে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছি।
একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়, কোথায় শেষ হয়, কীভাবে উত্থান হয়, সেটি দেখার ও জানার সুযোগ হয়েছে আমার। কোন ক্যাটালিস্টগুলোর কারণে একজন প্রোগ্রামার সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠেন অথবা কীভাবে ক্যারিয়ার থেকে হারিয়ে যায় সবকিছুই চোখের সামনে দেখেছি, ফেস করেছি।
আমি চাকরিতে থাকাকালীন এবং চাকরির পরে নিজের কোম্পানিতে প্রায় ১০০-এর বেশি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হায়ার করেছি, ম্যানেজ করেছি বিভিন্ন সময়ে। এ ছাড়া সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছি প্রায় তিন বছর। ইউনিভার্সিটি শিক্ষাকতা ছাড়াও বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে আমি দীর্ঘদিন পড়িয়েছি। এর ফলে কীভাবে একজন প্রোগ্রামার, একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হয় সে বিষয়ে আমার গভীর ধারণা রয়েছে।
আমি ফিল করি ২০২৪-এর এই সময়টায় আমার অভিজ্ঞতাগুলোর আলোকে ‘প্রোডাক্টিভ প্রোগ্রামার’ বইটি দিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের কিছু দেওয়ার আছে। ১৪ বছরের শেখার যাত্রা, বইয়ের মধ্যে কম্প্যাক্ট করে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। এই বইতে যে শিক্ষণীয় ব্যাপারগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলো, প্রোগ্রামিং দুনিয়ার যেকোনো মানুষের জন্য যেকোনো সময় অ্যাপ্লিকেবল। বইটি পড়ে সবাই দারুণভাবে উপকৃত হবেন বলে আমার বিশ্বাস।