আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। অবিস্মরণীয় এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মলাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত ও ত্বরান্বিত করতে নৌ-কমান্ডোরা এক অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকে পৃথিবীব্যাপী পরিচিত করেছিল নৌ-কমান্ডোদের দ্বারা পরিচালিত ‘অপারেশন জ্যাকপট’। পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাসে এমন দুঃসাহসিকতার নজির বিরল। প্রবল পরাক্রমশালী পাকিস্তানি সেনা ও নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র এবং যুদ্ধজাহাজ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল না। তবু অনন্য দেশপ্রেমে উজ্জীবিত এবং অকুতোভয় বীর সেনানী ও নৌ-কমান্ডোদের এই অগ্রণী ভূমিকায় সারা বিশ্ব অভিভূত হয়ে পড়ে। অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধ শাহজাহান কবির বীরপ্রতীক সেই গৌরবময় ইতিহাসকে লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর নৌ-যুদ্ধ একাত্তর নামক গ্রন্থে।
Title | : | নৌ-যুদ্ধ একাত্তর |
Author | : | শাহাজাহান কবির বীরপ্রতীক |
Publisher | : | পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড |
ISBN | : | 9789846345513 |
Edition | : | 2nd Edition, 2023 |
Number of Pages | : | 504 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
লেখকের পরিচিতি:
শাহজাহান কবির বীরপ্রতীক। জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১, পিতা শহিদ মোঃ ইব্রাহিম বিএবিটি, মাতা মরহুমা আছিয়া বেগম। বাড়ি চাঁদপুর জেলার দাশাদী গ্রামে। তিনি ১৯৬৭ সালে সফরমালী হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৬৯ সালে ঢাকা গভ. কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৭১ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক এবং ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। স্কুলজীবন থেকে শিক্ষা কমিশনসহ বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলন এবং কলেজজীবনে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তিনি নিজ এলাকার ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং মুর্শিদাবাদ জেলার ঐতিহাসিক পলাশীর নৌ-কমান্ডো প্রশিক্ষণ সেন্টারে কঠোর নৌ-কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেন। অপারেশন জ্যাকপটের অধীনে অন্যান্য নৌ-কমান্ডের সঙ্গে চাঁদপুর নৌবন্দরে অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং ছয়টি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়ে চাঁদপুর বন্দরকে অচল করে দেন। পরে অন্যান্য নৌ-কমান্ডোদের সাথে চাঁদপুরের দ্বিতীয় অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। মহান যুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশ সরকার বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করে।